আমার ছোট বোন আন্না মরিয়ম। সাত সন্তানের জননী চারজন কবর বাসি। বাকিদের নিয়ে জীবন ভালই চলতেছিল। ইতো মধ্যে সুস্থ সবল এর মধ্যে ভেঙে পড়ে সে।আমার সন্তানেরা পঞ্চম তলা বাড়ি রেখে তাড়া জায় প্রবাসে। আমি একা হয়ে ছোট সংসার পাতি বোনের পাশে। সংসার ছোট হলেও ব্যয় বহন কম নয়। দেশে আমার একটা ছেলে আছে পেশায় চিকিৎসক। মন আমার আনচান করে তার সাথে থাকতে। বোনকে ছেড়ে যেতেও কষ্ট লাগে। আমার ছোট মেয়ে ডাক্তার সায়ফুননাহার পান্না মৃত্যুবরণ করে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোনে।আমার বোন আননা সব সময় আমার কাছে আসা যাওয়া করতো। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন সবার জীবন শান্তি পূর্ণ করেন। আমাদের দুর্ভাগ্যতার কারণে সন্তানেররা হারিয়ে যায় আমাদের জীবন থেকে। আমরা বেঁচে থাকি তারা চলে যায়। আমার মন ফিরে যেতে চায় আপন ঘরে। ছেলের ঘরে মরতে পারলে আত্মা শান্তি পাবে মনে। মৃত্যু যেন ভালো হয় দোয়া চাই সকলের কাছে। কষ্টের দিন এলো ২০০৩থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ব্যথার কথা লিখতেও কষ্ট হয়। বোনের স্বামীর মৃত্যু কালে যাদের রেখে যায় তারা ২০১৯থেকে২০২৪তিন জন চলে যায় একে একে।বোনের ছোট ছেলে নাম আনাম অবুঝ তিব জন সন্তান রেখে মৃত্যু কালে মনে মনে মা ক্ষুদিরাম তার মা রেখে যায় ভারতবাসীর সাথে। তোমাকে আমি রেখে গেলাম আমার পরিবারের সাথে আছে হিজল ফুলের গাছ গন্ধ নাই সুন্দর শোভা আছে। মা বলে ওরে বাচাধন। তোর বুকের ধন নিয়ে আমি ডাকবো আল্লাহকে বোনের বড় মেয়ে বিশটা বছর সযত্নে লালন পালন করে এতিম দুই ছেলেকে। আল্লাহর শেষ রহমতে মায়ের পরিশ্রমের ফলে ছেলে দুইটা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বুয়েটে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে বর্তমানে বড় ছেলে বিয়ে দিয়ে আনল বউ। ছেলের ঘরে জ্বালিয়ে নিজে গেল অন্ধকার ঘরে। সেনহময়ী মা ছেলের ঘরে এনে দিল বউ।বইয়ের নাম মালা। অন্ধকার জীবনে আলো জালিয়ে।