ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একজন ভদ্রলোককে। যার পরনে আড়ম্বরপূর্ণ চেক ডিজাইনের ব্লেজার এবং স্ট্রাইপ শার্ট। তিনি আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছেন। তার চোখে পরিশীলিত ফ্রেমের চশমা, যা ব্যক্তিত্বে আরও বুদ্ধিদীপ্ত ভাব যোগ করেছে। পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডে সাজানো রয়েছে কিছু শোপিস এবং ফুল, যা ছবিকে আরও মার্জিত ও নান্দনিক পরিবেশ দিয়েছে। সামগ্রিকভাবে ছবিটি একজন শিক্ষিত, চিন্তাশীল ও কর্মঠ মানুষের প্রতিচ্ছবি বহন করছে। যাকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আটকে রাখতে পারেনি। অধম্য ইচ্ছাশক্তিতে হাজারো প্রতিকূলতা কাটিয়ে হয়ে উঠেছেন ন্যায় বিচারক, সেবক এবং ধার্মিক। সাবলীল ভাষায় একবারে সাদাসিধা জীবনযাত্রায় আনারসের রাজধানী ক্ষ্যাত মধুপুরকে করেছেন অনেকাংশে উন্নত। সামাজিক ও মানবিক কাজেও রয়েছে মনোনিবেশ। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর দেশের পরিবর্তন তুলনামূলক ভাবে না হলেও মধুপুরে নানাবিধ উন্নয়ন কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি। নিজ কর্মদক্ষতা ও দায়িত্বে লাল মাটির সাথে মিশে থাকা মানুষ গুলোর আশ্বাস এবং বিশ্বাসের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন তিনি। তিনি দায়িত্বশীল, আত্মবিশ্বাসী এবং সমাজে সম্মানীয় একজন ব্যক্তি হতে পেরেছেন।
এতক্ষন যার কথা বলছিলাম সেই মানুষটি হচ্ছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন। ৩৫তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মধুপুর উপজেলায় যোগদান করেন। উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও মধুপুরের সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। একদিকে কমেছে জনভোগান্তি, অন্যদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। জুলাই এবং আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব পরবর্তী সময়ে একাধারে উপজেলা পরিষদের প্রশাসক এবং পৌরসভার প্রশাসক এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০৪ সালের গ্রামীণ অপচিকিৎসায় বাম হাত হারান মাত্র ১৪ বছর বয়সে। নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নিজ প্রচেষ্টায় হয়েছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য।
তিনি আরো জানান, মাঠ প্রশাসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে গ্রামের প্রান্তিক মানুষের সাথে কাজ করার যে সুযোগ আছে, এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য মানুষের কাছে যান তিনি। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যতদিন মধুপুর উপজেলায় আছেন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করবেন। সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করেন মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের এবং ঐতিহ্যবাহী মধুপুর উপজেলাকে আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়তে। যত দিন মধুপুরের দায়িত্বে থাকবেন তার এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।