পুনর্বাসনে নারাজ স্থানীয়রা, চান জমির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তি।
কোন ধরনের পুনর্বাসন নই, জমির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তি চান কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা। পুনর্বাসনের জন্য সরকারিভাবে তালিকা তৈরির খবর শুনে আবারও উচ্ছেদ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজারও মানুষ আন্দোলনে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সমিতিপাড়া ও নাজিরারটেক এলাকায় যে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল, তা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। অনেকে বলেন, সেসময় পুনর্বাসন করা হলেও খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটে দুজনের বেশি মানুষের বসবাস করা কষ্টসাধ্য। তারা প্রশ্ন তোলেন, যদি রোহিঙ্গারা এখানে বসবাস করতে পারে, তাহলে দেশের স্থায়ী নাগরিকরা কেন পারবে না?
স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরি অভিযোগ করে বলেন, পুনর্বাসনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিই ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা নন। প্রায় ৯৮ শতাংশ স্থানীয় বাসিন্দা এই পুনর্বাসন প্রকল্পে আগ্রহী নন বরং তারা নিজেদের জমিতে স্থায়ী বন্দোবস্ত চান। একটি স্বার্থান্বেষী মহল দালালের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তালিকায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন- কোনো উচ্ছেদ নয়, বরং পুনর্বাসনের তালিকা তৈরি করছে সরকার। খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে যেসব নতুন ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে, সেগুলো সমিতিপাড়াবাসীদের বরাদ্দ দেওয়ার জন্যই এই তালিকা প্রণয়ণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. সালাউদ্দিন বলেন- ‘আমাদের লক্ষ্য পুনর্বাসন, উচ্ছেদ নয়। সমিতিরপাড়ার কাদা-পানিতে বসবাস করা লোকজনকে আধুনিক ও নিরাপদ আবাসনে নিয়ে যাওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ‘উচ্ছেদ’ শব্দটি ব্যবহার করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’