পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের আটুল গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মাত্র ২০ টাকার দেওয়ানী মামলায় গ্রাম আদালতে মিলেছে ন্যায়বিচার।
জানা যায়, মৃত মাহাবুবুর রহমানের কন্যা সাইদা-ই রহমান-২০২৩ সালে তার ৩ বিঘা ১১ শতক জমি একই গ্রামের মোকলেছুর রহমানকে বর্গা দেন। পরে তিনি ঢাকায় বসবাস শুরু করলে বর্গাচাষী ওই জমির মধ্যে ১১ শতক নিজের নামে বিক্রির পাঁয়তারা করেন এবং এক পর্যায়ে পার্শ্ববতী এনামুলের কাছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রিও করেন।
এ ঘটনায় জমির মালিক সাইদা-ই রহমান গ্রাম আদালতের শরণাপন্ন হয়ে জমি উদ্ধারে ২০ টাকা জমার মাধ্যমে একটি দেওয়ানী মামলার আবেদন করেন।
আজ বুধবার দুপুরে ৪নং বালিঘাটা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান মামুন সরকার বিচারক সেজে শুনানি শুরু করেন।
এ শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা ও প্রতিবাদির পক্ষে ইউপি সদস্য মোছাঃ রাহেলা বিবি উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাম আদালতের রাযে প্রকৃত মালিকের জমি ফেরত দেওয়া ও মোকলেছুর এবং সাবেক ইউ’পি সদস্য আশরাফুলকে প্রতারনার মাধ্যমে নেয়া এনামুলের টাকা ফেরতে দেয়া হয়।
এ গ্রাম আদালতের বিচার কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমান রিয়াজ।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকোশলী মোবারক হোসেন,গ্রাম আদালতে জেলা ম্যানেজার রাজিউল রহমান রাজু,কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ আলী ও ইউপি সদস্যবৃন্দ।
আদালতে গেলে অনেক টাকা খরচ হতো এবং বছরের পর বছর আদালত চত্বরে ঘুরতে হয়। নিজেদের মধ্যের ছোটখাটো এমন সমস্যা সমাধানে উচ্চ আদালতে না গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার দেওয়ার পরামর্শ দেন ইউএনও, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার সুধিজন।গ্রাম আদালতে অল্প খরচে ছোটবড় সমস্যার সমাধান পেয়ে বাদী বিবাদী উভয় পক্ষই বেশ খুশি।