শরতের নির্মল নীল আকাশ, শিউলির সুবাস এবং প্রকৃতির সবুজের সমরোহে সাদা কাশফুলের উপস্থিতি দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা নিয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর রবিবার দুর্গা দেবীর আর্বিভাব মহালয়া এবং এরই সাত দিন পরেই ২৮ শে সেপ্টেম্বর রবিবার মহাষষ্ঠির মধ্যে দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দূর্গাপূজা।
সারাদেশের মত দুর্গোৎসবকে ঘিরে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী জমিদার রায় সাহেব ঈঁশান বাবুর বাড়ীতে ১৪৮তম শারদীয় দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।
শেষ মুহূর্তে মৃৎশিল্পীদের দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রতিমা তৈরি মৃৎশিল্পীরা।দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও মন্ডপে তৈরি করা হচ্ছে লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, পেঁচা, হাঁস, সর্পসহ প্রায় ১২টি প্রতিমা।
উৎসবকে ঘিরে সরেজমিনে ঈঁশান বাবুর বাড়ীর মন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে পাশাপাশি চলছে মন্ডপ সাজানোর ব্যাপক প্রস্ততি। মন্ডপে শেষ পযার্য়ের দিকে প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিমার দো-মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ পর্যায়ে মূর্তিতে রং তুলির আঁচড়ের কাজ চলবে। অন্য দিকে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকারেশনসহ অন্যান্য কাজগুলি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শাস্ত্রমতে, এবার দেবীদুর্গা গজে মর্ত্যে আগমন করবেন এবং দোলায় চড়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন। যার ফলে স্বরূপ শস্যশ্যামলা হবে ধরিত্রী। কিন্তু দেবীর গমনের বাহন অশুভ ইঙ্গিত করছে।
উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব গোবিন্দ বাকচি জানান,
ঈশান চন্দ্র সরকারের পঞ্চম প্রজন্ম উজ্জ্বল সরকার লোটন ও উৎপল সরকার সাগর প্রতিবছর ওরা দুর্গা দেবীর পূজা করে থাকে। সকলের সহযোগিতায় সকলকে সাথে নিয়ে
পূজা করে থাকে। মহাপঞ্চমী ও
ষষ্ঠির পুকুর ঘাটে গোধন হয়। সেই গোধনে ১৪৮ তম বর্ষ হিসাবে এবার ১৪৮ টি মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে পুকুরে কলার ভেলায় করে ভাসিয়ে দিয়ে থাকি। এছাড়াও সপ্তমী ও অষ্টমীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যদিও এখনো সময় আছে দূর্গাপূজা শুরু হতে।
বর্ষ অনুসারে চালন-কুলা দিয়ে সাজিয়ে আমরা একটি গেট তৈরী করি। সময় ঘনিয়ে আসলে আমাদের কাজের চাপ অনেকটাই বেড়ে যাবে, যার কারনে সারাদিন চালন-কুলার রং তুলির কাজ করছি।