কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে ছেলের হাতে মোহাম্মদ সৈয়দ (৫০) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। সোমবার (১৫) সকালে খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুমারিয়ারছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মোহাম্মদ রফিক কে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি পেশায় একজন টেম্পো চালক ছিলেন। তিনি কয়েক বছর আগে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুরুশকুলের কুমারিয়ারছড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিল। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোহাম্মদ সৈয়দের বাড়ির আশেপাশের দুর্গন্ধ ছড়ালে তারা সন্দেহের বসে সেখানে খোজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায়। পরে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পরদিন বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সৈয়দের স্ত্রী ও দুই সন্তান রফিক ও সাহাবউদ্দিন জিয়া মিলে গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মরদেহ পুঁতে রাখে এবং মঙ্গলবার সেখান থেকে সটকে পড়ে স্ত্রী ও সন্তানরা।
পরিবারের অন্য সদস্যরা বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে রফিক ও স্ত্রী মনুয়ারার সাথে সৈয়দের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ছেলে রফিক তার পিতা সৈয়দকে সজোরে লাঠির আঘাত করলে সেখান লুটিয়ে পড়ে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা কাউকে বলে দিলে এভাবে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও মেরে ফেলার হুমকি দেন ঘাতক রফিক। সে ভয়ে তারা কাউকে বলতে পারেনি। পরে গতকাল মঙ্গলবার যখন এলাকার মানুষ জানতে পারে তখন তাদের সবকিছু খুলে বলেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে রফিক ও স্ত্রী মনোয়ারাকে কে হেফাজতে নিয়েছে। এখনো পলাতক রয়েছে এই খুনের আরেক সহযোগী রফিকের ছোট ভাই সাহাব উদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।