টাঙ্গাইল ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াবহ বাজারে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) কৃষদের নিয়ে মেঘা মাঠ দিবস রিপোর্টিং কর্মসূচি পালন করেছে সুপ্রিম সিড কোম্পানি লিমিটেড।
এ সময় তসলিম বীজ ভান্ডারের মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানির চিফ প্লান্ট ব্রিডার কৃষিবিদ দেলোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সুপ্রিম সীড কোম্পানির সেলস এন্ড মার্কেটিং ম্যানেজার কৃষিবিদ মো. হেলাল ও সিনিয়র এজিএম কৃষিবিদ মুহাম্মদ ফাহিম শামস উপস্থিত ছিলেন।
এ মেঘা মাঠ দিবস রিপোর্টিং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ডিআরএম আলাউদ্দিন আল আজাদ।
মেঘা মাঠ দিবস রিপোর্টিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত শতাধীক কৃষক সুপ্রিম সীড কোম্পানির প্রতিনিধিদের সামনে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি উন্নত মানের সঠিক বীজ চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার দাবী জানান।
পেপে চাষী আলহাজ্ব মুনছুর আলী ফকির বলেন, সারাদেশের চাষাবাদ অনুপাতে সব থেকে বেশি পেঁপে চাষ হয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল এবং মধুপুর উপজেলার পাহাড়ি লাল মাটির উচু অঞ্চলে। এই অঞ্চলে যত দিন ধরে পেঁপে চাষের প্রচলন আসছে তারমধ্যে সব থেকে ভালো জাত সুপ্রীম সীড কোম্পানির টপলেডি জাতের পেঁপে। টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ করেই তিনি কোটি টাকা আয় করেছেন।
পেঁপে চাষী আব্দুল কাদের বলেন, এ এলাকার আবহাওয়ায় অন্য কোন জাতের পেঁপের ভালো ফলন হয়না। টপলেডি পেঁপে এই অঞ্চলের পরিবেশে ভালো ফলন হয়। তাছারাও এই পেঁপে খেতে খুব মিষ্টি হওয়ায় বাজারে চাহিদা আছে এবং ভালো দাম পাওয়া যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, টপলেডি বীজের এত চাহিদা যে, চাহিদা অনুযায়ী বীজ উৎপাদন করা সম্ভব নয় বিদায় দিতে ব্যর্থ হোন তারা। তবে নতুন উদ্ভাবিত জাত সুপ্রিম লেডি পেঁপে চাষ করে কৃষকের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এ জাতটা টপলেডির মতই ফলন এবং স্বাদ। টপলেডি পেঁপে ভেতরে হলুদ আর নতুন জাতের সুপ্রিম লেডির ভেতরে লাল আর সব বৈশিষ্ট্যই সমমানের। টপলেডির থেকেও সুপ্রিম লেডির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি কৃষকদের সতর্ক করে বলেন, এ বছর অনেক পেঁপে চাষী নকল বীজের চারা কিনে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং পেঁপে চাষে নিরুৎসাহিত হয়েছেন। আপনারা সব সময় চেষ্টা করবেন সুপ্রীম সীট কোম্পানির পরিবেশকের থেকে বীজ সংগ্রহ করতে। অন্যথায় আপনাদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড নিজস্ব প্রতিনিধি বা পরিবেশকের বাইরে বীজ বিক্রি করেনা।